জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত(২য়)



জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত(২য়)


মুযাফফর বিন মুহসিন
প্রথম অধ্যায়

পবিত্রতা (ওযূ ও তায়াম্মুম)
ইসলাম পবিত্রতাকে ঈমানের অর্ধেক বলে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং পবিত্রতা ছালাতের চাবিবলেও ঘোষণা করেছে তাই মুসলিম মাত্রই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সর্বদা সচেতন থাকবে, যাতে ঈমান জাগ্রত থাকেবিশেষ করে ছালাতের ওযূর ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দিবে কারণ ওযূ না হলে ছালাত হবে না তাই ওযূ বিষয়ে যে সমস্ত ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে সেগুলো আমাদেরকে বর্জন করতে হবে এবং সঠিকটা গ্রহণ করতে হবে
(
১) মিসওয়াক করার ফযীলত ৭০ গুণ:
শরীআতে মিসওয়াক করার গুরুত্ব অনেকতবে মিসওয়াক করার ফযীলত সম্পর্কে বর্ণিত উক্ত প্রসিদ্ধ কথাটি জালযেমন:
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَفْضُلُ الصَّلاَةُ الَّتِى يُسْتَاكُ لَهَا عَلَى الصَّلاَةِ الَّتِى لاَ يُسْتَاكُ لَهَا سَبْعِينَ ضِعْفًا.
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ছালাত মিসওয়াক করে আদায় করা হয় সেই ছালাত মিসওয়াক করা বিহীন ছালাতের চেয়ে ৭০ গুণ বেশী নেকী হয়
তাহক্বীক্ব: ইমাম বায়হাক্বী উক্ত বর্ণনা উল্লেখ করে বলেন,
وَقَدْ رَوَاهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ يَحْيَى الصَّدَفِىُّ عَنِ الزُّهْرِىِّ وَلَيْسَ بِالْقَوِىِّ وَرُوِىَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ وَمَنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ وَكِلاَهُمَا ضَعِيْفٌ وَفِىْ طَرِيْقِ الْوَجْهِ الْآخِرِ عَنْ عُرْوَةَ الْعَاقِدِىِّ وَ هُوَ كَذَّابٌ.
মুআবিয়া ইবনু ইয়াহইয়া যুহরী থেকে বর্ণনা করেছেসে নির্ভরযোগ্য নয়অন্য সূত্রে উরওয়া আয়েশা থেকে বর্ণনা করেছেকিন্তু তারা উভয়েই যঈফ অন্য সূত্রে উরওয়া আক্বেদী থেকে বর্ণনা করেছে কিন্তু সে মিথ্যুক
رَكْعَتَانِ بِسِوَاكٍ أَفْضَلُ مِنْ سَبْعِيْنَ رَكْعَةً بِغَيْرِ سِوَاكٍ
মিসওয়াক করে দুই রাকআত ছালাত আদায় করা মিসওয়াক বিহীন সত্তর রাকআত ছালাত পড়ার সমান
উল্লেখ্য, প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের অন্যতম প্রবক্তা মাওলানা মুহাম্মাদ ইউসুফ কান্দালভী প্রণীত মুন্তাখাবে হাদীসগ্রন্থে ফযীলত সংক্রান্ত অনেক জাল বা মিথ্যা হাদীছ উল্লেখ করেছেনউক্ত বর্ণনাটি তার অন্যতম
তাহক্বীক্ব: বর্ণনাটি জাল ইমাম বাযযার বলেন, মুআবিয়া নামে একজন রাবী রয়েছে সে ছাড়া আর কেউ এই হাদীছ বর্ণনা করেনি ইবনু হাজার আসক্বালানী তাকে যঈফ বলেছেনএছাড়া মুহাম্মাদ ইবনু ওমর নামে আরেকজন রাবী রয়েছে সে মিথ্যুক
عَنْ زَيْدِ بنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ قَالَ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْرُجُ مِنْ شَيْءٍ لِشَيْءٍ مِنَ الصَّلَوَاتِ حَتَّى يَسْتَاكَ .
যায়েদ ইবনু খালেদ আল-জুহানী (রাঃ) বলেন, মিসওয়াক না করে রাসূল (ছাঃ) ছালাত সমূহের জন্য বাড়ী থেকে বের হতেন না
তাহক্বীক্ব: বর্ণনাটি যঈফ১০
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ فِى السِّوَاكِ عَشْرُ خِصَالٍ مَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ تَعَالَى وَمَسْخَطَةٌ لِلشَّيْطَانِ وَمَفْرَحَةٌ لِلْمَلاَئِكَةِ جَيِّدٌ لِلَّثَةِ وَيُذْهِبُ بِالْحَفْرِ وَيَجْلُو الْبَصَرَ وَيُطَيِّبُ الْفَمَ وَيُقَلِّلُ الْبَلْغَمَ وَهُوَ مِنَ السُّنَّةِ وَيَزِيْدُ فِى الْحَسَنَاتِ.
ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, মিসওয়াকের ১০টি বৈশিষ্ট্য রয়েছে (১) মহান প্রতিপালকের সন্তুষ্টি (২) শয়তানের অসন্তুষ্টি (৩) ফেরেশতাদের জন্য আনন্দ (৪) আলজিভের সৌন্দর্য (৫) দাঁতের আবরণ দূরে করে (৬) চোখকে জ্যোতিময় করে (৭) মুখকে পবিত্র করে (৮) কফ কম করে (৯) এটি সুন্নাত (১০) নেকী বৃদ্ধি করে১১
তাহক্বীক্ব: হাদীছটি নিতান্তই যঈফইমাম দারাকুৎনী হাদীছটি বর্ণনা করে বলেন, মুআল্লা ইবনু মাঈন দুর্বল ও পরিত্যক্ত রাবী১২
عَنِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ السِّوَاكُ مَطْهَرَةٌ لِلْفَمِ مَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ وَمَجْلاَةٌ ِللْبَصَر.ِ
ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, মিসওয়াক মুখ পরিষ্কারকারী, প্রতিপালকের সন্তুষ্টির কারণ ও চোখের জন্য জ্যোতিময়১৩
তাহক্বীক্ব : হাদীছটি যঈফ ইমাম তাবারাণী বলেন, হারিছ বিন মুসলিম ছাড়া বাহরে সিক্বা থেকে অন্য কেউ এই হাদীছ বর্ণনা করেনি১৪
عَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تَسَوَّكُوْا فَإِنَّ السِّوَاكَ مَطْهَرَةٌ لِلْفَمِ مَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ مَا جَاءَنِيْ جِبْرِيْلُ إِلَّا أَوْصَانِي بِالسِّوَاكِ حَتَّى لَقَدْ خَشِيْتُ أَنْ يُفْرَضَ عَلَيَّ وَعَلَى أُمَّتِي وَلَوْلاَ أَنِّي أَخَافُ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَفَرَضْتُهُ لَهُمْ وَإِنِّي لَأَسْتَاكُ حَتَّى لَقَدْ خَشِيْتُ أَنْ أُحْفِيَ مَقَادِمَ فَمِيْ.
আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা মিসওয়াক করনিশ্চয়ই মিসওয়াক মুখ পরিষ্কারকারী ও আল্লাহর সন্তুষ্টির কারণযখনই জিবরীল আমার নিকট আসেন তখনই আমাকে মিসওয়াক করার জন্য বলেনএমনকি আমি ভয় করি যে, আমার ও আমার উম্মতের উপর তা ফরয করা হয় কি-নাআমার উম্মতের উপর কঠিন হয়ে যাওয়ার ভয় না করলে মিসওয়াক করা আমি উম্মতের উপর ফরয করে দিতাম আমি মিসওয়াক করতেই থাকি এমনকি আশংকা করি যে, আমি হয়ত আমার মুখের সামনের দিক ক্ষয় করে ফেলব১৫
তাহক্বীক্ব : হাদীছটি যঈফউক্ত বর্ণনার সনদে অনেক ত্রুটি রয়েছেওছমান ইবনু আবীল আতেকা নামক একজন রাবী রয়েছে ইমাম আহমাদ, ইবনু মাঈন, নাসাঈ তাকে যঈফ বলেছেনএছাড়াও আলী ইবনু যায়েদ আবু আব্দিল মালেক নামের রাবী রয়েছেইমাম বুখারী তাকে মুনকার বলেছেনইবনু হাতেম এই হাদীছকে যঈফ বলেছেন১৬
عَنْ أَبِي أَيُّوْبَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعٌ مِنْ سُنَنِ الْمُرْسَلِيْنَ الْحَيَاءُ وَالتَّعَطُّرُ وَالسِّوَاكُ وَالنِّكَاحُ.
আবু আইয়ুব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, চারটি বিষয় নবীদের সুন্নাত। (ক) লজ্জা করাঅন্য বর্ণনায় খাতনা করার কথা রয়েছে (খ) সুগন্ধি ব্যবহার করা (গ) মিসওয়াক করা ও (ঘ) বিবাহ করা১৭
তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি যঈফ উক্ত বর্ণনায় কয়েকটি ত্রুটি রয়েছেআইয়ূব ও মাকহূলের মাঝে রাবী বাদ পড়েছেহাজ্জাজ বিন আরত্বাহ নামক রাবীর দোষ রয়েছেএছাড়াও এর সনদে আবু শিমাল রয়েছেতাকে আবু যুরআহ ও ইবনু হাজার আসক্বালানী অপরিচিত বলেছেন১৮
(
২) যায়তুন দ্বারা মিসওয়াক করা ফযীলতপূর্ণ:
যায়তুন দ্বারা মিসওয়াক করার জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয় এবং বিশেষ গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়অথচ এর পক্ষে শারঈ কোন বিধান নেইএ মর্মে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তা জাল
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ نِعْمَ السِّوَاكُ الزَّيْتُوْنُ مِنْ شَجَرةٍ مُبارَكَةٍ  يُطَيِّبُ الْفَمَ ويُذْهِبُ الحَفْرَ  وَهُوَ سوَاكِيْ وسِوَاكُ الْأَنْبِيَاءِ قَبْلِيْ.
মুআয বিন জাবাল বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, উত্তম মিসওয়াক ল বরকতপূর্ণ যায়তুন গাছ, যা মুখকে পবিত্র করে, দাঁতের আবরণ দূর করেএটা আমার মিসওয়াক ও আমার পূর্বের নবীগণের মিসওয়াক১৯
তাহক্বীক্ব: বর্ণনাটি জাল উক্ত বর্ণনার সনদে মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব আল-উকাশী নামে একজন মিথ্যুক রাবী আছে ইমাম যাহাবী, দারাকুৎনী, ইবনু হাজার আসক্বালানী সহ অন্যান্য মুহাদ্দিছগণ তাকে মিথ্যুক বলে অভিহিত করেছেন২০ ইমাম হায়ছামী বলেন, এর সনদে মুহাম্মাদ ইবনু মুহছিন উকাশীও আছে, সে চরম মিথ্যাবাদী২১
عَنْ أَبِي خَيْرَةَ الصَّبَّاحِيِّ قَالَ كُنْتُ فِي الْوَفْدِ الَّذِيْنَ أَتَوْا رَسُوْلَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عَبْدِ الْقَيْسِ فَزَوَّدَنَا الأَرَاكَ نَسْتَاكُ بِهِ، فَقُلْنَا يَا رَسُوْلَ اللَّهِ عِنْدَنَا الْجَرِيدُ وَلَكِنَّا نَقْبَلُ كَرَامَتَكَ وَعَطِيَّتَكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِعَبْدِ الْقَيْسِ إِذْ أَسْلَمُوْا طَائِعِيْنَ غَيْرَ مُكْرَهِيْنَ إِذْ قَعَدَ قَوْمِي لَمْ يُسْلِمُوْا إِلا خَزَايَا مَوْتُوْرِيْنَ.
আবু খায়রাহ ছববাহী (রাঃ) বলেন, আমি আব্দুল ক্বায়স প্রতিনিধি দলের সাথে ছিলাম যারা রাসূল (ছাঃ)-এর কাছে গিয়েছিলতিনি পাথেয় বাবদ মিসওয়াক করার জন্য তিনি আমাদেরকে আরাক গাছের ডাল দিলেন, যাতে আমরা তার দ্বারা মিসওয়াক করিআমরা বললাম, আমাদের নিকট মিসওয়াক করার জন্য খেজুরের ডাল রয়েছেতবে আমরা আপনার সম্মানজনক দান আমরা গ্রহণ করছিতখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, হে আল্লাহ! আব্দুল ক্বায়েসের প্রতিনিধি দলকে ক্ষমা করুন কারণ তারা আনুগত্য স্বীকার করে ইসলাম গ্রহণ করেছে অসন্তুষ্টিতে নয়আর আমার সম্প্রদায় অপমানিত ও তীর-ধনুকের কবলে না পড়ে ইসলাম গ্রহণ করেনি২২
তাহক্বীক্ব: হাদীছটি যঈফএর সনদে দাউদ ইবনু মাসাওয়ার নামক রাবী রয়েছেসে অপরিচিত, কেউ তাকে নির্ভরযোগ্য বলেননিতার শিক্ষক মুকাতিল বিন হুমামও অপরিচিত২৩
(
৩) আঙ্গুল দিয়ে মিসওয়াক করাই যথেষ্ট:
মিসওয়াক দ্বারাই মুখ পরিষ্কার করা সুন্নাতমিসওয়াক না থাকলে আঙ্গুল দ্বারা মিসওয়াক করা যায়কিন্তু শুধু আঙ্গুল দ্বারা মিসওয়াক করাই যথেষ্ট একথা ঠিক নয়এর পক্ষে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তা জাল
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَجْزِئ مِنَ السِّوَاكِ الْأَصَابِعُ.
আনাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, আঙ্গুল দ্বারা মিসওয়াক করাই যথেষ্ট২৪
তাহক্বীক্ব: বর্ণনাটি যঈফএর সনদে আবু গাযিয়া নামক একজন রাবী রয়েছেসে মুহাদ্দিছগণের ঐকমত্যে দুর্বলবরং দারাকুৎনী তাকে হাদীছ জালকারী বলে অভিযুক্ত করেছেনএছাড়াও কাছীর ইবনু আব্দুল্লাহ আল-মুযানী নামক রাবীকেও মুহাদ্দিছগণ মিথ্যুক বলেছেনআরো অনেক ত্রুটি রয়েছে২৫
(
৪) ছিয়াম অবস্থায় কাঁচা ডাল দিয়ে মিসওয়াক না করা:
উক্ত ধারণা সম্পূর্ণ ভ্রান্তবরং কাঁচা হোক শুকনা হোক যেকোন ডাল দ্বারা মিসওয়াক করা যাবে২৬
মিসওয়াক সম্পর্কে ছহীহ হাদীছ :
عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ السِّوَاكُ مَطْهَرَةٌ لِلْفَمِ مَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ.
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মিসওয়াক হল মুখ পরিষ্কারকারী এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের কারণ২৭
عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ُأَنَّهُ أَمَرَ بِالسِّوَاكِ وَقَالَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا تَسَوَّكَ ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي قَامَ الْمَلَكُ خَلْفَهُ فَتَسَمَّعَ لِقِرَاءَتِهِ فَيَدْنُو مِنْهُ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا حَتَّى يَضَعَ فَاهُ عَلَى فِيهِ فَمَا يَخْرُجُ مِنْ فِيهِ شَيْءٌ مِنَ الْقُرْآنِ إِلاَّ صَارَ فِي جَوْفِ الْمَلَكِ فَطَهِّرُوا أَفْوَاهَكُمْ لِلْقُرْآنِ.
আলী (রাঃ) মিসওয়াক করার নির্দেশ দান করতেন এবং বলতেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘নিশ্চয় বান্দা যখন মিসওয়াক করে ছালাত আদায়ের জন্য দাঁড়ায় তখন ফেরেশতা তার পিছনে দাঁড়ায়অতঃপর তার ক্বিরাআত শুনতে থাকে এবং তার কিংবা কথার নিকটবর্তী হয়এমনকি  ফেরেশতার মুখ তার মুখের উপর রাখেতার মুখ থেকে কুরআনের যা বের হয় তা ফেরেশতার পেটের মাঝে প্রবেশ করে সুতরাং তোমরা কুরআন তেলাওয়াতের জন্য মুখ পরিষ্কার রাখ২৮ উল্লেখ্য, মিসওয়াকের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক হাদীছ রয়েছে
(
৫) মাথায় টুপি দিয়ে বা মাথা ঢেকে টয়লেটে যাওয়া:
পেশাব-পায়খানায় যাওয়ার সময় মাথায় টুপি দেওয়া বা মাথা ঢেকে যাওয়ার প্রথা সমাজে লক্ষ্য করা যায়কিন্তু এর শারঈ কোন ভিত্তি নেইউক্ত মর্মে যে হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে তা জাল
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ النَّبِىُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ الْخَلاَءَ غَطَّى رَأْسَهُ وَإِذَا أَتَى أَهْلَهُ غَطَّى رَأْسَهُ.
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) যখন পায়খানায় প্রবেশ করতেন তখন তাঁর মাথা ঢেকে নিতেন এবং যখন স্ত্রী সহবাস করতেন তখনও মাথা ঢাকতেন২৯
তাহক্বীক্ব: হাদীছটি জালএর সনদে মুহাম্মাদ ইবনু ইউনুস আল-কাদীমী নামক রাবী রয়েছে সে এই হাদীছ জাল করেছে এছাড়া তার শিক্ষক আলী ইবনু হাইয়ান আল-মাখযূমীকে ইবনু হাজার আসক্বালানী মাতরূক বলেছেনএছাড়া অন্যান্য মুহাদ্দিছগণও এই হাদীছকে প্রত্যাখ্যান করেছেন৩০
(
৬) পানি থাকা সত্ত্বেও কুলুখ নেওয়া অথবা কুলুখ নেওয়ার পর পুনরায় পানি নিয়ে ইস্তিঞ্জা করা:
পানি থাকা অবস্থায় কুলুখ নেওয়া শরীআত সম্মত নয়পানি না পাওয়া গেলে কুলুখ নেওয়া যাবেতবে পুনরায় পানি ব্যবহার করতে হবে নাকুলুখ নেওয়ার পর পানি নেওয়া সম্পর্কে যে হাদীছ বর্ণনা করা হয় তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন
عَنِ ابْنِ عَبَّاسِ قَالَ نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِى أَهْلِ قُبَاءَ فِيْهِ رِجَالٌ يُحِبُّوْنَ أَنْ يَتَطَهَّرُوْا وَاللهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِيْنَ فَسَأَلَهُمْ رَسُوْلُ اللهِ ؟ فَقَالُوْا نَتَّبِعُ الْحِجَارَةَ الْمَاءَ.
ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, নিম্নোক্ত আয়াত কুবাবাসীদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছেএতে এমন লোক সকল রয়েছে যারা উত্তমরূপে পবিত্র হওয়াকে ভালবাসেনআর আল্লাহ উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জনকারীকে ভালবাসেন(তওবা ১০৮)অতঃপর রাসূল (ছাঃ) তাদের এর কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেছিল, (আমরা ইস্তিঞ্জা করার সময়) পাথর নেওয়ার পর পানি নেই
তাহক্বীক্ব: বর্ণনাটি জাল বা মিথ্যাহাদীছের গ্রন্থ সমূহে এই বর্ণনার কোন ভিত্তি পাওয়া যায় না৩১ ইমাম বাযযার এটি বর্ণনা করে বলেন, ‘যুহরী থেকে মুহাম্মাদ বিন আব্দুর আযীয ছাড়া অন্য কেউ একে বর্ণনা করেছেন বলে আমার জানা নেইআর সে তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছে৩২
ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন,
عمر بن عبد العزيز ضعفه أبو حاتم فقال ليس له ولا لأخويه عمران وعبد الله حديث مستقيم وعبد الله بن شبيب ضعيف أيضا.
ওমরকে আবু হাতেম দুর্বল বলেছেনতিনি আরো বলেন, তার ও তার দুই ভাই ইমরান ও আব্দুল্লাহ কারো একটি হাদীছও সঠিক নয়তাছাড়া আব্দুল্লাহ ইবনু শাবীবও দুর্বল৩৩
উক্ত বর্ণনার বিরোধী ছহীহ হাদীছ:
উক্ত হাদীছ যে জাল তার বাস্তব প্রমাণ হ নিম্নের ছহীহ হাদীছযেখানে পাথরের কথাই নেই
 
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِى أَهْلِ قُبَاءَ فِيْهِ رِجَالٌ يُحِبُّوْنَ أَنْ يَتَطَهَّرُوْا قَالَ كَانُوْا يَسْتَنْجُوْنَ بِالْمَاءِ فَنَزَلَتْ فِيهِمْ هَذِهِ الآيَةُ.
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, এই আয়াতটি কুবাবাসীদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছেএতে এমন লোক সকল রয়েছে যারা উত্তমরূপে পবিত্র হওয়াকে ভালবাসেন(তওবা ১০৮)তিনি বলেন, তারা পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করত৩৪
অন্য হাদীছে এসেছে,
عَنْ أَبىْ أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ هَذِهِ الْآيَةَ نَزَلَتْ فِيْهِ رِجَالٌ يُحِبُّوْنَ أَنْ يَتَطَهَّرُوْا وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِيْنَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَثْنَى عَلَيْكُمْ فِي الطُّهُوْرِ فَمَا طُهُورُكُمْ قَالُوا نَتَوَضَّأُ لِلصَّلَاةِ وَنَغْتَسِلُ مِنْ الْجَنَابَةِ وَنَسْتَنْجِي بِالْمَاءِ قَالَ فَهُوَ ذَاكَ فَعَلَيْكُمُوْهُ.
আবু আইয়ুব আনছারী, জাবের ইবনু আব্দিল্লাহ ও আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নিশ্চয়ই এই আয়াত যখন অবতীর্ণ হয়- তথায় (কুবায়) এমন লোক সকল রয়েছে যারা পবিত্রতা লাভ করাকে ভালবাসে এবং আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালবাসেনতখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, হে আনছারগণ! এই আয়াত দ্বারা আল্লাহ তাআলা তোমাদের পবিত্রতার ব্যাপারে তোমাদের প্রশংসা করলেনতোমরা কিভাবে পবিত্রতা অর্জন কর? তারা বলল, আমরা ছালাতের জন্য ওযূ করে থাকি, অপবিত্রতা হতে গোসল করে থাকি এবং পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করে থাকিরাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, এটাই তার কারণসুতরাং তোমরা সর্বদা এটা করতে থাকবে৩৫
মূল কথা হল অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসীরা শুধু পাথর দ্বারা ইস্তিঞ্জা করত কিন্তু কোবাবাসী অন্যদের তুলনায় শুধু পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতেন সে জন্যই আল্লাহ তাদের প্রশংসা করেছেন
আরেকটি জাল হাদীছ:
عَائِشَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهَا مُرْنَ أَزْوَاجَكُنَّ أَنْ يَتَّبِعُوْا الْحِجَارَةَ بِالْمَاءِ مِنْ أَثَرِ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ فَإِنِّيْ أَسْتَحْيِيْهِمْ وَإِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كاَنَ يَفْعَلُهُ.
আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের স্বামীদের বলে দাও তারা যেন পেশাব-পায়খানার সময় পাথর নেওয়ার পর পানি ব্যবহার করেআমি তাদেরকে বলতে লজ্জাবোধ করছিআর রাসূল (ছাঃ)ও এটা করেন৩৬
তাহক্বীক্ব: বর্ণনাটি জাল শব্দে কোন বর্ণনা নেইশায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, এর কোন ভিত্তি নেই৩৭
উক্ত বর্ণনার বিরোধী সরাসরি ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে যেখানে কুলুখ নেওয়ার কথা নেই; বরং শুধু পানি নেওয়ার কথা রয়েছেযেমন-
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مُرْنَ أَزْوَاجَكُنَّ أَنْ يَسْتَطِيْبُوا بِالْمَاءِ فَإِنِّي أَسْتَحْيِيهِمْ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَفْعَلُهُ.
আয়েশা (রাঃ) বলেন, তোমরা তোমাদের স্বামীদের বলে দাও তারা যেন পানি দ্বারা পবিত্রতা হাছিল করেকারণ আমি তাদেরকে বলতে লজ্জাবোধ করছি নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তা করে থাকেন৩৮
অতএব সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত উক্ত মিথ্যা প্রথাকে অবশ্যই উচ্ছেদ করতে হবেপানি থাকা সত্ত্বেও যেন কোন স্থানে কুলুখের স্তূপ সৃষ্টি না হয় কারণ প্রকৃত ফযীলত পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করার মধ্যেই রয়েছে
[চলবে]

. ছহীহ মুসলিম হা/৫৫৬, ১/১১৮ পৃঃ; মিশকাত হা/২৮১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২৬২, ২/৩৭
. ছহীহ আবূদাঊদ হা/৬১, ১/৯ পৃঃ; তিরমিযী হা/৩, ১/৫ পৃঃ; মিশকাত হা/৩১২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২৯১, ২/৫১ পৃঃ
. ছহীহ আবুদাঊদ হা/১০১, ১/১৪ পৃঃ; ছহীহ ইবনে মাজাহ হা/৩৯৮ ও ৩৯৯, পৃঃ ৩২; মিশকাত হা/৪০৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৭০, ২/৮২, ‘ওযূর সুন্নাত সমূহঅনুচ্ছেদ
. বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/১৫৯, ১ম খন্ড, পৃঃ ৬১-৬২; হাকেম হা/৫১৫; ইবনু খুযায়মাহ হা/১৩৭; মিশকাত হা/৩৮৯
. আলবানী, মিশকাত হা/৩৮৯-এর টীকা দ্রঃ
. মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হা/১৮০৩; মুসনাদে বাযযার ১/২৪৪ পৃঃ
. , মুন্তাখাব হাদীস, অনুবাদ: মাওলানা মুহাম্মাদ সাআদ ছাহেব (ঢাকা: দারুল কুতুব, দ্বিতীয় প্রকাশ: আগস্ট ২০১০), পৃঃ ২৯৯
.لا نعلم رواه إلا معاوية قلت وهو الصدفي قال الحافظ ضعيف  সিলসিলা যঈফাহ হা/১৫০৩-এর ভাষ্য দ্রঃ; যঈফুল জামেআছ-ছাগীর হা/৩১২৭
. দারাকুৎনী হা/১৫২৫; মুন্তাখাব হাদীস, পৃঃ ৩০০
১০. যঈফ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/১৪৩
১১. দারাকুৎনী ১/৫৮; সিলসিলা যঈফাহ হা/৪০১৬, ৯/২১ পৃঃ
১২. مُعَلَّى بْنُ مَيْمُوْنٍ ضَعِيْفٌ مَتْرُوْكٌ -দারাকুৎনী ১/৫৮; সিলসিলা যঈফাহ হা/৪০১৬, ৯/২১ পৃঃ
১৩. তাবারাণী, আল-মুজামুল আওসাত্ব হা/৭৪৯৬
১৪. لم يرو هذا الحديث عن بحر السقاء إلا الحارث بن مسلم  -আল-মুজামুল আওসাত্ব হা/৭৪৯৬; সিলসিলা যঈফাহ হা/৫২৭৬
১৫. যঈফ ইবনু মাজাহ হা/২৮৯, পৃঃ ২৫; আহমাদ হা/২২৩২৩; তাবরানী, কবীর হা/৭৭৯৬; মিশকাত হা/৩৮৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৫৬, ২/৭৫ পৃঃ; মুন্তাখাব হাদীস, পৃঃ ২৯৮
১৬. علي بن زيد أبو عبد الملك الألهاني الدمشقي قال فيه البخاري منكر الحديث، وقال ابن حاتم الرازي ضعيف الحديث، أحاديثه منكرة،  মুগাল্লাত্বঈ, শরহে সুনানে ইবনে মাজাহ (সঊদী আরব: মাকতাবাহ নিযার মুছত্বফা আল-বায, ১৪১৯ হিঃ), ১/৬২ পৃঃ
১৭. যঈফ তিরমিযী হা/১০৮০, ১/২০৬; মিশকাত হা/৩৮২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৫২, ২/৭৪ পৃঃ, ‘মিসওয়াক করাঅনুচ্ছেদ; মুন্তাখাব হাদীস, পৃঃ ২৯৭
১৮. মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী, ইরওয়াউল গালীল ফী তাখরীজে আহাদীছি মানারিস সাবীল (বৈরুত : আল-মাকতাবুল ইসলামী, ১৪০৫/১৯৮৫), হা/৭৫, ১ম খন্ড, পৃঃ ১১৭
১৯. তাবারাণী, আল-আওসাত, হা/৬৮৯
২০. আহমাদ ইবনু আলী ইবনু হাজার আল-আসক্বালানী, তাহযীবুত তাহযীব (বৈরুত: দারুল কুতুব আল-ইলমিয়াহ, ১৪১৫/১৯৯৪), ৯/৩৭১ পৃঃ
২১. فيه محمد بن محصن العكاشي  وهو كذاب সিলসিলা যঈফাহ হা/৫৩৬০ ও ৫৫৭০
২২. তাবারাণী কবীর হা/১৮৩৫৯; মুন্তাখাব হাদীস, পৃঃ ৩০০
২৩. ইমাম বুখারী, তারীখুল কাবীর ৩/২৪৭ পৃঃ
২৪. বায়হাক্বী ১/৪০, ইবনু আদী ৫/৩৩৪
২৫. اتفقوا على تضعيفه ، بل اتهمه الدارقطني بالوضع সিলসিলা যঈফাহ হা/২৪৭১; ইরওয়াউল গালীল হা/৬৯; যঈফুল জামে হা/৬৪১৫
২৬. ছহীহ বুখারী হা/১৯৩৪, ১/২৫৯ পৃঃ, ‘ছিয়ামঅধ্যায়-৩৬, অনুচ্ছেদ-২৭
২৭. ছহীহ নাসাঈ হা/৫, ১/৩ পৃঃ; মিশকাত হা/৩৮১; বঙ্গানুবাদ হা/৩৫১, ২/৭৪ পৃঃ; ইরওয়া হা/৬৬
২৮. আবুবাকর আহমাদ ইবনু আমর আল-বাছরী আল-বাযযার, মুসনাদুল বাযযার হা/৬০৩, ১/১২১ পৃঃ; সনদ জাইয়িদ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/১২১৩, ৩/২৮৭ পৃঃ
২৯. বায়হাক্বী, আস-সুনানুল কুবরা হা/৪৬৪
৩০. সিলসিলা যঈফাহ হা/৪১৯২porokal.wordpress.com
৩১. সিলসিলা যঈফাহ হা/১০৩১-এর ভাষ্য দ্রঃ
৩২. (لا نعلم أحدا رواه عن الزهري الا محمد بن عبد العزيز ولا عنه الا ابنه) - তালখীছ, পৃঃ ৪১, দ্রঃ ইরওয়াউল গালীল হা/৪২, ১/৮২ পৃঃ
৩৩. ইবনু হাজার আল-আসক্বালানী, তালখীছুল হাবীর ফী আহাদীছির রাফইল কাবীর হা/১৫১; দ্রঃ ইরওয়াউল গালীল হা/৪২, ১/৮২ পৃঃ
৩৪. আবূদাঊদ হা/৪৪, ১/৭ পৃঃ, ‘পবিত্রতাঅধ্যায়-১, অনুচ্ছেদ-২৩, সনদ ছহীহ; মুস্তাদরাক হাকেম হা/৬৭৩
৩৫. ছহীহ ইবনে মাজাহ হা/৩৫৫, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/৩৬৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৪৪১, ‘পেশাব-পায়খানার শিষ্টাচারঅনুচ্ছেদ; আলোচনা দ্রঃ সিলসিলা যঈফাহ হা/১০৩১, ৩/১১৩ পৃঃ
৩৬. ইরওয়াউল গালীল হা/৪২
৩৭. ইরওয়াউল গালীল ১/৮২ পৃঃ
৩৮. ছহীহ তিরমিযী হা/১৯, ১/১১ পৃঃ; ছহীহ নাসাঈ হা/৪৬, ১/৮ পৃঃ

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বিবাহ (দারস- ৪)

বিবাহ (দারস-৮)

অধ্যায়ঃ বিবাহ (দারস-১)