পোস্টগুলি

2015 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বিবাহ (দারস-৯)

অধ্যায়ঃ বিবাহ দারস-৯ মুসলমান ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর অন্য কেউ প্রস্তাব দেয়া নিষেধ ৯৭৮. ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ এক মুসলিম ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর অন্য ভাইকে প্রস্তাব দিতে নিষেধ করেছেন, যতক্ষন না প্রথম প্রস্তাবকারী তার প্রস্তাব উঠিয়ে নেবে বা তাকে অনুমতি দেবে।” (বুখারী ২১৩৯, ২১৬৫, ৫১৪২ মুসলিম ১৪১২ নাসায়ী ৩২৪৩, ৪৫০৪ আবু দাঊদ ২০৮১ ইবনু মাজাহ ২১৭১ আহমাদ ৪৭০৮ মুয়াত্তা মালেক ১১১২, ১৩৯০ দারেমী ২১৭৬, ২৫৬৭) ব্যাখ্যাঃ   এ হাদিস দ্বারা জানা যাচ্ছে যে বিবাহে পয়গামের উপর পয়গাম দেয়া জায়েজ নয়; কিন্তু ফাতেমা বিনতে কায়েসের(রাঃ) ঘটনা দ্বারা বাহ্যত স্পষ্ট জানা যাচ্ছে যে একই সময় দু তিনটি প্রস্তাব দেয়া যেতে পারে। কেননা ঐ ভদ্র মহিলার নিকট যখন দুটি প্রস্তাব পৌছে তখন তিনি পরামর্শের জন্য নাবী সাঃ এর খিদমতে হাজির হন এবং ঐ অবস্থার বর্ণনা দিয়ে পরামরশ প্রার্থনা করেন; কিন্তূ এটা এ হাদিসের বিপরীত নয়। সম্ভবত ২য় বার প্রস্তাবদাতা প্রথমে প্রস্তাব দাতার খবর জানতে পারেন নি। কেউ কেউ বলেন যে বাগদান মীমাংসিত হিয়ে যাওয়ার পর পয়গাম দেয়া নিষিদ্ধ, পূর্বে নয়। জমহুর

বিবাহ (দারস-৮)

অধ্যায়ঃ বিবাহ দারস-৮ বিয়ের প্রস্তাবকারীর প্রস্তাবিত পাত্রীকে দেখা শরীয়ত সম্মতঃ ৯৭৭. আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একজন মহিলাকে বিবাহ করতে যাচ্ছেন এমন একজন সাহাবীকে নাবী (সাঃ) বললেন, তুমি কি মেয়ে কে দেখেছ? সাহাবী বললেনঃ না। তিনি বললেনঃ যাও, তাকে গিয়ে দেখ। (মুসলিম ১৪২৪, নাসায়ী ৩২৩৪ আহমাদ ৭৭৮৩, ৭৯১৯) ব্যাখ্যাঃ এ হাদিসে হুকুম ওজুবের জন্যে নয়, জাওয়াযের জন্যে যেমন পূর্ব হাদিসে এটা স্পষ্ট হয়েছে। এ দেখা বিবাহের পয়গাম দেয়ার পূর্বে হতে হবে। কেননা যদি নাকচ করে দেয় তবে মেয়ে পক্ষদের কষ্টের কারন হতে পারে । উপরিউক্ত দুইটি হাদিসের(৯৭৪ ও ৯৭৭) আলোকে যা আলোচ্য তা হলঃ পাত্রী দেখতে গিয়ে পাত্র যা দেখবে তা হল, পাত্রীর চেহেরা ও কব্জি পর্যন্ত হস্তদ্বয়। অন্যান্য অঙ্গ দেখা বৈধ নয়। কারন এমনিতেই কোন গম্যা নারীর প্রতি দৃষ্টিপাতই হারাম। তাই প্রয়োজনে যা বৈধ, তা হলো পাত্রীর ঐ দুই অঙ্গ। এই দর্শনের সময় পাত্রীর সাথে যেন তার বাপ বা ভাই বা কোন মাহরম থাকে। তাকে পাত্রের সহিত একাকিনী কোন রুমে ছেড়ে না দেয়। যদিও বিয়ের কথা পাক্কা হয়। পাত্র যেন কাম নজরে না দেখে। (মুগনী ৬/৫৫৩) আর দেখার সময় তাকে বিবাহ করার

বিবাহ (দারস-৭)

অধ্যায়ঃ বিবাহ দারস-৭ বিয়ের প্রস্তাবকারীর প্রস্তাবিত পাত্রীকে দেখা শরীয়ত সম্মত ৯৭৪. জাবির রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ কোন রমনীকে বিবাহের প্রস্তাব দেবে তখন যদি সম্ভব হয় তবে যেন সে তাকে ব্যাখ্যাঃ এ হাদিস থেকে জানা গেল যে কোন ব্যক্তি কোন রমণী কে বিবাহ করার ইচ্ছা করলে তাকে একবার নিজেই দেখে নেয়া উচিত। জমহুরের নিকট এরুপ করা মুস্তাহাব, জরুরী নয়। যদি সে নিজের কোন নির্ভরযোগ্য আত্নীয়া মহিলাকে পাঠিয়ে দিয়ে ঐ রমণীর চেহারার রঙ ও রুপ এবং স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে জেনে নিতে পারে তবে এটাও ঠিক হবে। যেমন রাসুলুল্লাহ সাঃ উম্মে সুলায়েমকে (রাঃ) পাঠিয়ে একজন রমণী সম্পর্কে সবকিছু জেনে নিয়েছিলেন।

বিবাহ (দারস-৬)

অধ্যায়ঃ বিবাহ দারস-৬ বিবাহ সংঘটিত হওয়ার সময় খুতবাহ পাঠ করাঃ ৯৭৩. আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাঃ হতে বর্ণিত তিনি বলেনঃ প্রয়োজন ও কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে ( এ স্থলে বিবাহের খুৎবাহ দেয়ার জন্যে) তাশাহুদ পড়া শিক্ষা দিয়েছেন। তা হলো- অর্থঃ “ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যে, আমরা তার প্রশংসা করছি, তার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, আর আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্ট হতে তার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি, আল্লাহ যাকে সৎপথ প্রদর্শন করেন তাকে পথ ভ্রষ্ট করার কেউ নেই, আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তাকে সৎপথ প্রদর্শন কারী কেউ নেই, আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন সত্য মাবূদ নাই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ(সাঃ) তার বান্দা এ রাসূল।” এর পর তিনি তিনটি আয়াত পাঠ করতেন।” ব্যাখ্যাঃ  এ খুতবা শুধুমাত্র বিবাহের খুতবা নয়, বরং রাসুলুল্লাহ সাঃ যে কোন প্রয়োজনের জন্য এ খুৎবা শিখিয়েছেন। আল্লমা ইবনে ইয়ামেনী বলেছেন যে, বিবাহকারীর নিজেই এই খুতবাহ পাঠ অরা উচিত; কিন্তু তা ছেড়ে দেয়া হয়েছে। যে তিনটি আয়াতের উল্লেখ করা হয়েছে ওগুলো হোলঃ সুরা নিসার প্রথম আয়াত, সুরা আলে ইমরানের ১০২ নং আয়াত (মুসলেমিন ) পর্যন্ত এবং সুরা আহযাবের

বিবাহ (দারস-৫)

অধ্যায়ঃ বিবাহ দারস-৫ নবদম্পতির জন্য যে দোয়া করতে হয়ঃ ৯৭২. আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে নাবী (সাঃ) যখন কারো বিবাহের কল্যান কামনা করে দুয়া করতেন তখন বলতেনঃ بَرَكَلَّهُ لَكَ وَبَرَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَ فِيْ خَيْرَ অর্থঃ আল্লাহ তোমাদের বরকত দান করুক, তোমাদের উপর বরকত নাযিল করুক এবং কল্যানের সাথে তোমাদের একত্র করুন। ব্যাখ্যাঃ  অজ্ঞতার যুগে দুয়ার পদ্ধতি এই ছিল যে তারা বলতঃ মুবারক হোক এবং আল্লাহ সন্তান দ্বারা সোউভাগ্যবান করুন। রাসুলুল্লাহ সাঃ এটা হতে নিষেদ করেছেন । তবে লক্ষ্যনীয় সকলে বরের উদ্দেশ্য একাকি নিরবে পাঠ করবে।

বিবাহ (দারস- ৪)

অধ্যায়ঃ বিবাহ দারস- ৪ যে সমস্ত গুণাবলীর কারনে মেয়েদের বিবাহ করা হয়ঃ ৯৭১. আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত নাবী(সাঃ) বলেছেনঃ চারটি কারনে রমণীকে বিয়ে করা হয়ে থাকে। তার সম্পদের জন্যে, বংশ মর্যাদার জন্যে, সৌন্দর্যের কারনে এবং তার দ্বীনদারের জন্যে সুতরাং তুমি দ্বীনদারী নারীকে বিবাহ করে সৌভাগ্যবান হও( সফলতা লাভ কর)। তোমার হাত দুটি ধুলিময় হোক ।(বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবু দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ২৮৫৮, আহমাদ ৯২৩৭, দারেমী ২১৭০) ব্যাখ্যাঃ  এ হাদিস থেকে জানা গেল যে, মোটকথা বিবাহের জন্য দ্বীনদার রমণী নির্বাচন করা উচিত। কারও ধন দৌলত, কারও সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া ঠিক নয়। কেননা রমণী শুধুমাত্র স্ত্রীই হবে না শিশুর মাতাও হবে। সে সন্তানদের তরবিয়ত সঠিকভাবে তখনই করতে পারবে যখন নিজে সে সতী সধবী ও দ্বীনদার হবে। “তোমার হাত দুটি ধুলিময় হোক” এখানে দুয়ার জন্যে নয়; বরং এই জায়গায় চেষ্টা ও তদবির করার জন্যে উত্তেজিত ও উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ “সমস্ত দুনিয়াটা উপকারী বস্তু আর সর্বোত্তম উপকারী বস্তু হচ্ছে সৎ স্ত্রী।(মুসলিম ১৪৬৭) ত

বিবাহ (দারস-৩)

অধ্যায়ঃ বিবাহ দারস-৩ স্নেহপরায়ণ, বেশী সন্তান প্রসবিনী নারীদেরকে বিবাহ করাঃ ৯৬৯. আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুল(সাঃ) আমাদেরকে সর্বদা বিবাহের নির্দেশ দিতেন এবং বিবাহ বর্জন করাকে কঠোরভাবে নিষেধ করতেন। তিনি বলতেনঃ “তোমরা এমন সব রমণীকে বিবাহ কর যার খুব মুহব্বতকারিণী ও অধিক সন্তান প্রসবকারিণী হয়। কেননা কিয়ামতের দিন আমি তোমাদেরকে নিয়ে তখন অন্যান্য নাবীদের( আলাইহিমুস সালাম) কাছে আমার উম্মতের আধিক্যের গর্ব করবো।(ইবনু হিব্বান ১২২৮, আহমাদ ১২২০২, ১৩১৫৭) ব্যাখ্যাঃ   (হাদিসে বর্ণিত আরবি "আততাবাত্তুলি") অর্থ রমনীদের হতে পৃথক থাকা, বিবাহ না করা এবং বৈবাহিক সম্পর্ক হতে পৃথক থাকাকে বলা হয়। "ওয়াদুদা" বলা হয় এমন মহিলাকে যে তার স্বামীর সাথে সীমাহীন প্রেম ও ভালবাসা স্থাপন করে অথবা এমন পছন্দনীয়া রমনী যে তার উত্তম গুণাবলী, ভাল স্বভাব-চরিত্রের অধিকারিণী এবং নিজের স্বামীর সাথে অকৃত্রিম ভালবাসা স্থাপনকারিণী হয়। "ওয়ালুদা" বলা হয় এমন রমণী যে অধিক সন্তান প্রসবকারিনী হয়। এ জিনিসটি কুমারী নারীদের বংশীয় অবস্থা দ্বারা জানা যায়।"

বিবাহ (দারস-২)

অধ্যায়ঃ বিবাহ দারস-২ বিয়ে করা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের সুন্নতঃ ৯৬৮. আনাস বিব মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে নাবী(সাঃ) আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন করেন এবন বলেনঃ “আমি কিন্তু সালাত আদায় করি, ঘুমাই, সওম পালন করি, সওম (নফল) রাখি কোন সময়ে ত্যাগও করি, মহিলাদের বিবাহ করি(এসবই আমার আদর্শভুক্ত)। ফলে যে ব্যক্তি আমার তরিকাহ(জীবন যাপন পদ্ধতি) হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই/ সে আমার উম্মাতের মধ্যে নয়। ( বুখারী ৫০৬৩, মুসলিম ১৪০১, নাসায়ী ৩২১৩, আহমাদ ১৩১২২, ১৩৩১৬) ব্যাখ্যাঃ এর পূর্বে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে তা থেকে সৃষ্ট ধারনা দূর করে দেয়া হচ্ছে। মুসান্নিফ (রহঃ) সংক্ষেপণকে সামনে রেখে ওটা লোপ করে দিয়েছেন। এর সারমর্ম এই যে, তিনি তিনজন সাহাবীর (রাযিঃ) মধ্যে একজন বলেন যে, তিনি সর্বদা রোযা রাখবেন, ২য় জন বলেন যে, তিনি সারা রাত দাঁড়িয়ে ইবাদাত করবেন এবং ৩য় জন বলেন যে, তিনি কখনও বিবাহ করবেন না। যখন নাবী সাঃ তাদের এই দৃঢ় সঙ্কল্পের কথা জানতে পারেন তখন তিনি তাদের কে জিজ্ঞেস করেনঃ “তোমরাই কি এইভাবে কথা বলছিলে? তা হলে জেনে রাখো যে আমি তোমাদের চেয়ে আল্লাহকে বেশ

অধ্যায়ঃ বিবাহ (দারস-১)

অধ্যায়ঃ বিবাহ দারস-১ বিবাহ করার ব্যপারে উৎসাহ প্রদানঃ ৯৬৭. আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ(রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ(সাঃ ) আমাদেরকে বলেছেন, “হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যার বিবাহ করার সামর্থ্য রয়েছে(যে অর্থনৈতিকভাবে ও সহবাসে সক্ষম) সে যেন বিবাহ করে। কেননা বিবাহ (মানুষের) চক্ষু নীচু রাখে এবং লজ্জাস্থানকে (ব্যভিচার হতে) রক্ষা করে। আর যে ব্যক্তির এর সামর্থ্য নেই সে যেন রোযা পালন করে। কেননা রোযা হলো কুপ্রবৃত্তি ও হিংসা-বিদ্বেষ দমনের মাধ্যম। (বুখারী ১৯০৫, ৫০৬৫, মুসলিম ১৪০০, তিরমিযী ১০৮১, নাসায়ী ২২৪০, ২২৪১, ২২৪২, আবু দাঊদ ২০৪৬, ইবনু মাজাহ ১৮৪৫, আহমাদ ৩৫৮১, দারেমী ২১৬৫, ২১৬৬) ব্যাখ্যাঃ নিকাহ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো মিলানো, একটি অপরটির মধ্যে প্রবিষ্ট হওয়া। আর শরীয়তের পরিভাষায় এর অর্থ হলো স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বন্ধন যদ্বারা স্ত্রী মিলন হালাল হয়। আসলে নিকাহ হলো বন্ধনের নাম এবং হিজাযী হিসেবে স্ত্রী সংগমের জন্য ব্যবহৃত হয়। আর এই উক্তিটিই সঠিক । শাবাব শাব এর বহুবচন। নবযুবকের অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে যাদের বয়স ৩০ এর অধিক নয়। তাদের সম্বোধন করা উদ্দেশ্য এই ছিলো য