বিবাহ (দারস-৬)

অধ্যায়ঃ বিবাহ
দারস-৬
বিবাহ সংঘটিত হওয়ার সময় খুতবাহ পাঠ করাঃ
৯৭৩. আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাঃ হতে বর্ণিত তিনি বলেনঃ প্রয়োজন ও কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে ( এ স্থলে বিবাহের খুৎবাহ দেয়ার জন্যে) তাশাহুদ পড়া শিক্ষা দিয়েছেন। তা হলো- অর্থঃ “ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যে, আমরা তার প্রশংসা করছি, তার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, আর আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্ট হতে তার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি, আল্লাহ যাকে সৎপথ প্রদর্শন করেন তাকে পথ ভ্রষ্ট করার কেউ নেই, আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তাকে সৎপথ প্রদর্শন কারী কেউ নেই, আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন সত্য মাবূদ নাই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ(সাঃ) তার বান্দা এ রাসূল।” এর পর তিনি তিনটি আয়াত পাঠ করতেন।”
ব্যাখ্যাঃ 
এ খুতবা শুধুমাত্র বিবাহের খুতবা নয়, বরং রাসুলুল্লাহ সাঃ যে কোন প্রয়োজনের জন্য এ খুৎবা শিখিয়েছেন। আল্লমা ইবনে ইয়ামেনী বলেছেন যে, বিবাহকারীর নিজেই এই খুতবাহ পাঠ অরা উচিত; কিন্তু তা ছেড়ে দেয়া হয়েছে। যে তিনটি আয়াতের উল্লেখ করা হয়েছে ওগুলো হোলঃ সুরা নিসার প্রথম আয়াত, সুরা আলে ইমরানের ১০২ নং আয়াত (মুসলেমিন ) পর্যন্ত এবং সুরা আহযাবের ৭০-৭১ নং আয়াত পর্যন্ত। আহলে জাওয়াহের এই খুতবাহ কে অয়াজিব বলেন এবং শাফেয়ী মতালম্বদের মধ্যে আবু আওয়ানাও একে ওয়াজিব বলেছন; কিন্তু বাকি উলামায়ে কেরামের নিকট এটা সুন্নত । আকদের পূর্বে খুতবায়ে হাজত পড়া মুস্তাহাব।  
বিবাহের আকদ সহিহ হবার রোকন তিনটিঃ
১. বাধা না থাকাঃ বিবাহ সহিহ হওয়ার কোন বাধা ছাড়াই ( যেমনঃ দুধপান ও ভিন্ন দ্বীন, যাদের সাথে বিবাহ নিষেধ ইত্যাদি) বর কনের অস্তিত্ব থাকা।
২. ইজাব পাওয়াঃ মেয়ের অলি কিংবা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে এ বলা যে আমি তোমার সাথে অমুক মেয়ের বিবাহ দিলাম কিংবা তোমাকে মালিক বানিয়ে দিলাম ইত্যাদি শব্দ।
৩. কবুল পাওয়াঃ স্বামী অথবা তার উকিলের পক্ষ থেকে বলাঃ আমি এ বিবাহ কবুল করলাম ইত্যাদি শব্দ দ্বারা।
নারীর আকদের সময়ঃ
পবিত্র ও মাসিক অবস্থায় নারীর বিবাহের আকদ করা জায়েয। তবে মাসিক অবস্থাই বাসরশয্যায় না পাঠানোই উচিত।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বিবাহ (দারস- ৪)

বিবাহ (দারস-৮)