অধ্যায়ঃ বিবাহ (দারস-১)

অধ্যায়ঃ বিবাহ
দারস-১
বিবাহ করার ব্যপারে উৎসাহ প্রদানঃ

৯৬৭. আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ(রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ(সাঃ
) আমাদেরকে বলেছেন, “হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যার বিবাহ করার সামর্থ্য রয়েছে(যে অর্থনৈতিকভাবে ও সহবাসে সক্ষম) সে যেন বিবাহ করে। কেননা বিবাহ (মানুষের) চক্ষু নীচু রাখে এবং লজ্জাস্থানকে (ব্যভিচার হতে) রক্ষা করে। আর যে ব্যক্তির এর সামর্থ্য নেই সে যেন রোযা পালন করে। কেননা রোযা হলো কুপ্রবৃত্তি ও হিংসা-বিদ্বেষ দমনের মাধ্যম।
(বুখারী ১৯০৫, ৫০৬৫, মুসলিম ১৪০০, তিরমিযী ১০৮১, নাসায়ী ২২৪০, ২২৪১, ২২৪২, আবু দাঊদ ২০৪৬, ইবনু মাজাহ ১৮৪৫, আহমাদ ৩৫৮১, দারেমী ২১৬৫, ২১৬৬)
ব্যাখ্যাঃ নিকাহ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো মিলানো, একটি অপরটির মধ্যে প্রবিষ্ট হওয়া। আর শরীয়তের পরিভাষায় এর অর্থ হলো স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বন্ধন যদ্বারা স্ত্রী মিলন হালাল হয়। আসলে নিকাহ হলো বন্ধনের নাম এবং হিজাযী হিসেবে স্ত্রী সংগমের জন্য ব্যবহৃত হয়। আর এই উক্তিটিই সঠিক । শাবাব শাব এর বহুবচন। নবযুবকের অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে যাদের বয়স ৩০ এর অধিক নয়। তাদের সম্বোধন করা উদ্দেশ্য এই ছিলো যে এই নবযুবকরাই নারীদের প্রতি অধিক কাম প্রবৃত্তির খেয়াল রাখে। কেননা যে মানুষ মহিলাকে বিয়ে করে সে তো ঐ মহিলাকে নিজের অবস্থান স্থল বানিয়ে নেয়, নিজের মনযিল করে রাখে। এই স্থলে এটা হয় তো সহবাসের অর্থ হবে। এই অবস্থায় ভাষা হবেঃ “ তোমাদের মধ্যে যাদের বিবাহের খরচ চালানোর ক্ষমতা রাখার সাথে সহবাসেরও ক্ষমতা রাখে অথবা এর দ্বারা বিবাহের খরচ চালানোর সাহস রাখার উদ্দেশ্য হবে। ঐ অবস্থায় বিবাহের প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহের নাম বিবাহ রাখা হয়েছে। নীচুকারী, রক্ষাকারী এবং বিবাহকারীদের চক্ষুগুলোকে অপর স্ত্রীলোদের দিকে উঠানো হতে বাধাদানকারী, খুব বেশি হিফাযতকারী। ব্যভিচার থেকে বাচার জন্য ও পবিত্র জীবন গঠনের উদ্দেশ্যে বিবাহ করলে দাম্পত্যে আল্লাহর সাহায্য আসে।(সহিহ আল জামিউস সাগীর, মিশকাতুল মাসাবীহ) বিয়ের বয়স হলে যৌন পিপাসায় অতিষ্ঠ হলে এবং নিজের উপর ব্যভিচার অথবা গুপ্ত অভ্যাসে স্বাস্থ্য ভাঙ্গার আশংখা হলে বিলম্ব না করে বিবাহ করা ওয়াজেব। বাড়ীর লোকদের উচিত এতে তাকে সাহায্য সহযোগিতা করা। আর বাড়ীর লোকদের মনে রাখার বিষয় হলো আল্লাহর উপদেশ যা তিনি কুরআনুল কারীমে বলেনঃ “তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তাদের বিবাহ সম্পাদন কর এবং তোমাদের দাস- দাসীদের মধ্য যারা সৎ তাদেরও। তারা অভাবগ্রস্থ হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ তো প্রচুরযময়, সর্বজ্ঞ। (সুরা নূর আয়াত ৩২) । আল্লাহ ও তার রাসুল সাঃ বিয়ের ব্যপারে উৎসাহিত করেছেন।বিয়ে করার সময় ও পর স্ত্রীর পর্দার বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। আর যদি পারিবারিক ভাবে আর্থিক অবস্থা খারাপ হলে রোযা পালন করবে যা সামনে আসছে।(হাদিসে বর্ণিত আরবি শব্দ "বিজাউন" অর্থ) কু প্রবৃত্তি ও হিংসা কে দমনকারী। আসলে তো এর ব্যবহার পশুর অণ্ডকোষ কর্তন বা পিষ্ট করে অকেজো করে দেয়ার উপর হয়ে থাকে যাকে তার পুরুষত্ব শক্তি নষ্ট হয়ে যায়।রোযা মানুষের কামোত্তজনাকে কর্তন করে দেয়। এর দ্বারা এটাই অর্থ বুঝে নিতে হবে যে, যেমন কোন পশুকে খাসসী করে দেয়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বিবাহ (দারস- ৪)

বিবাহ (দারস-৮)